বই : # বহুরূপী
লেখক : শাহরিয়ার কবির
পেজ : ৭৫
ক্যাটাগরি : রহস্য উপন্যাস
বইয়ের গল্প তালিকাঃ
১.শিংটোলার ছআনি দশআনি
২.দশআনির ওপর দিদার রাগ
৩.ভূপালি জেঠিমার আগমন
৪.পিকনিকে ঝকমারি
৫.বড়দির বিয়ের প্রস্তাব
৬.হীরের নেকলেস চুরি
৭.মুসকিল আসানের আগমন
৮.দুখির মার রহস্যজনক আচরন
৯.বাঘের গুহায় ইতু
১০.সব ভালো যার শেষ ভালো।
রিভিউঃ
মোট ১০ টি শিরোনামে সম্পূর্ণ উপন্যাস শেষ হয়েছে। ৬ নং পয়েন্ট দেখেই বুঝতে পারছেন মূল কাহীনি এবং রহস্য সেখান থেকেই শুরু। তবে মূল কাহিনী সেখান থেকে শুরু হলেও আরো অনেক মজার কাহিনী উপরেই আছে।
কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছে ইতু এবং তার পরিবার। ঢাকায় যে বড় বাড়িতে থাকে সেটা এক প্রকার জমিদার বাড়ি এবং সেইসাথে ভূতের বাড়ি। ভূতের ভয় নেই এই বাড়ির ছোট ছোট পাচজনের। এই পাচ জনেই গল্পের অনেকটা অংশ জুড়ে আছে। প্রতিদিন এরা সবাই আনন্দ, খেলাধূলা, পড়াশোনা করেই কাটিয়ে দেয় তবে এই আনন্দ আরো ১০ গুন বাড়িয়ে দিতে তাদের পাশের বাসায় আসলো আরো ছোট একটি পরিবার তাদের আবার ছোট দুটি মেয়ে আছে।
প্রথমে মন কষাকষি তারপর ভাব আর তারপর আনন্দের আর শেষ নেই। বড়দের রাজি করিয়ে পিকনিকে যাওয়া থেকে শুরু করে বিয়ের আনন্দ ...
ও বিয়ের কথা বলে নেই, ইতুদের বাসার বড় মেয়ের বিয়ে হবে আর কদিন পর। এই বড়দি ডাক্তারী পাশ করেছে। কাকতালীয় ব্যাপার হল ইতুদের পাশের বাসায় যারা এসেছে তাদের একজন মেডিকেলের শিক্ষক।এবং বড়দি তার ছাত্রী। তাদের দুজনের মধ্যে গোপন ভালবাসা আছে। কিন্তু সেই ভালবাসার কথা বড়রা কেউ জানেনা আর তাই বড়দির বিয়ে ঠিক হয়েছে আর একজনের সাথে।
বড়রা কথাটা না জানলেও ইতু ব্যাপার টা বুঝে যায়। তাই সে করে এক মজার প্লান। কিন্তু সে প্লান কি সাকসেস হবে?
প্লান সাকসেস হওয়ার আগে ঘটলো আরো ভয়ঙ্কর এক ঘটনা, বড়দির বিয়ের হিরের নেকলেস চুরি হল। কে চুরি করল?সেটা খুজে বের করতেই হবে ইতুদের।
তাই ইতু ঠিক করলো সে খুজে বের করবে। আবার বসল প্লানে। কিন্তু প্লান ভেস্তে দিয়ে ইতুকেই আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কি হবে এখন তাহলে ...
আরো কিছু বিষয় আছে যেমন, ভূপালি জেঠিমার আগমন, এই আগমন অনেক সুখের এবং আনন্দের। ভূপালির আগমনেই কিছু প্লান সাকসেস হয়। অপরদিকে গয়না চুরির পর থেকে কাজের মেয়েকেও আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি কাজের মেয়ে চুরি করেছে????তবে সবাই বিশ্বাস করছে চুরি যেই করুক মুসকিল আসান বাবা চোরকে ঠিকি ধরতে পারবেন। তবে তিনি সন্দেহ করছেন চুরিটা করেছে জ্বীন।
গল্প পড়লে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে আসবে।
উপস্থাপন নিয়ে কথা বলি। লেখকের এর আগে কিছু বই পড়েছি। আমার বেশ ভালোই লেগেছিলো। কিন্তু এটা ততটা ভালো লাগেনি। কারন আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ইতুরা হিন্দু। আর আমি কল্পনাতে সেভাবেই সাজিয়ে নেয়ার পর বুঝতে পারছি তারা মুসলিম। হিন্দু ভাবার অনেক কারন আছে আবার ইতুকে গল্পের প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে মেয়ে ভেবে এসেছি। এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না মিতু ছেলে না মেয়ে। নামে মেয়ে মনে হচ্ছে কিন্তু কাজে ছেলে। এসব বিষয় ক্লিয়ার করা হয়নি। অনেক চরিত্র কিন্তু যথাযথ আমার কাছে লাগেনি। এত কম পাতার একটা বই পড়তে আমার সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে। এর আগে এত সময় দিয়ে কোন বই পড়িনি। তবে খুসির কথা ইতু একজন # বইপোকা
। তার বই পোকা নিয়ে অনেক গল্প আছে।
আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সৌজন্যেঃFree bangla pdf books
রেজুলেশনঃ ৬০০ DPI
লেখক : শাহরিয়ার কবির
পেজ : ৭৫
ক্যাটাগরি : রহস্য উপন্যাস
বইয়ের গল্প তালিকাঃ
১.শিংটোলার ছআনি দশআনি
২.দশআনির ওপর দিদার রাগ
৩.ভূপালি জেঠিমার আগমন
৪.পিকনিকে ঝকমারি
৫.বড়দির বিয়ের প্রস্তাব
৬.হীরের নেকলেস চুরি
৭.মুসকিল আসানের আগমন
৮.দুখির মার রহস্যজনক আচরন
৯.বাঘের গুহায় ইতু
১০.সব ভালো যার শেষ ভালো।
রিভিউঃ
মোট ১০ টি শিরোনামে সম্পূর্ণ উপন্যাস শেষ হয়েছে। ৬ নং পয়েন্ট দেখেই বুঝতে পারছেন মূল কাহীনি এবং রহস্য সেখান থেকেই শুরু। তবে মূল কাহিনী সেখান থেকে শুরু হলেও আরো অনেক মজার কাহিনী উপরেই আছে।
কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছে ইতু এবং তার পরিবার। ঢাকায় যে বড় বাড়িতে থাকে সেটা এক প্রকার জমিদার বাড়ি এবং সেইসাথে ভূতের বাড়ি। ভূতের ভয় নেই এই বাড়ির ছোট ছোট পাচজনের। এই পাচ জনেই গল্পের অনেকটা অংশ জুড়ে আছে। প্রতিদিন এরা সবাই আনন্দ, খেলাধূলা, পড়াশোনা করেই কাটিয়ে দেয় তবে এই আনন্দ আরো ১০ গুন বাড়িয়ে দিতে তাদের পাশের বাসায় আসলো আরো ছোট একটি পরিবার তাদের আবার ছোট দুটি মেয়ে আছে।
প্রথমে মন কষাকষি তারপর ভাব আর তারপর আনন্দের আর শেষ নেই। বড়দের রাজি করিয়ে পিকনিকে যাওয়া থেকে শুরু করে বিয়ের আনন্দ ...
ও বিয়ের কথা বলে নেই, ইতুদের বাসার বড় মেয়ের বিয়ে হবে আর কদিন পর। এই বড়দি ডাক্তারী পাশ করেছে। কাকতালীয় ব্যাপার হল ইতুদের পাশের বাসায় যারা এসেছে তাদের একজন মেডিকেলের শিক্ষক।এবং বড়দি তার ছাত্রী। তাদের দুজনের মধ্যে গোপন ভালবাসা আছে। কিন্তু সেই ভালবাসার কথা বড়রা কেউ জানেনা আর তাই বড়দির বিয়ে ঠিক হয়েছে আর একজনের সাথে।
বড়রা কথাটা না জানলেও ইতু ব্যাপার টা বুঝে যায়। তাই সে করে এক মজার প্লান। কিন্তু সে প্লান কি সাকসেস হবে?
প্লান সাকসেস হওয়ার আগে ঘটলো আরো ভয়ঙ্কর এক ঘটনা, বড়দির বিয়ের হিরের নেকলেস চুরি হল। কে চুরি করল?সেটা খুজে বের করতেই হবে ইতুদের।
তাই ইতু ঠিক করলো সে খুজে বের করবে। আবার বসল প্লানে। কিন্তু প্লান ভেস্তে দিয়ে ইতুকেই আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কি হবে এখন তাহলে ...
আরো কিছু বিষয় আছে যেমন, ভূপালি জেঠিমার আগমন, এই আগমন অনেক সুখের এবং আনন্দের। ভূপালির আগমনেই কিছু প্লান সাকসেস হয়। অপরদিকে গয়না চুরির পর থেকে কাজের মেয়েকেও আর পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি কাজের মেয়ে চুরি করেছে????তবে সবাই বিশ্বাস করছে চুরি যেই করুক মুসকিল আসান বাবা চোরকে ঠিকি ধরতে পারবেন। তবে তিনি সন্দেহ করছেন চুরিটা করেছে জ্বীন।
গল্প পড়লে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে আসবে।
উপস্থাপন নিয়ে কথা বলি। লেখকের এর আগে কিছু বই পড়েছি। আমার বেশ ভালোই লেগেছিলো। কিন্তু এটা ততটা ভালো লাগেনি। কারন আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ইতুরা হিন্দু। আর আমি কল্পনাতে সেভাবেই সাজিয়ে নেয়ার পর বুঝতে পারছি তারা মুসলিম। হিন্দু ভাবার অনেক কারন আছে আবার ইতুকে গল্পের প্রায় অর্ধেক অংশ জুড়ে মেয়ে ভেবে এসেছি। এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না মিতু ছেলে না মেয়ে। নামে মেয়ে মনে হচ্ছে কিন্তু কাজে ছেলে। এসব বিষয় ক্লিয়ার করা হয়নি। অনেক চরিত্র কিন্তু যথাযথ আমার কাছে লাগেনি। এত কম পাতার একটা বই পড়তে আমার সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে। এর আগে এত সময় দিয়ে কোন বই পড়িনি। তবে খুসির কথা ইতু একজন # বইপোকা
। তার বই পোকা নিয়ে অনেক গল্প আছে।
আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সৌজন্যেঃFree bangla pdf books
রেজুলেশনঃ ৬০০ DPI
ConversionConversion EmoticonEmoticon