শ্যামল ছায়া - হুমায়ূন আহমেদের অসাধারন বইটি সরাসরি ডাউনলোড করুন / Shamol chaya by humayun ahmed

বইয়ের নামঃ শ্যামল ছায়া
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
পেজ : ৪৯
দাম : ১০০
সৌজন্যেঃFree bangla pdf books
রেজুলেশনঃ ৬০০ DPI
বইয়ের ধরণঃ⬇




Shamol Chaya (5·6MB) By Humayun Ahmed - Free download the book
বইটির রিভিউঃ
শ্যামল ছায়া - হুমায়ুন আহমেদ (
Shamol Chaya
অনেক দিন পর, সত্যি বলতে হুমায়ূন আহমেদের লেখা যত বই আমি পড়েছি এই বইটা আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে। একেবারেই অন্যরকম। বই শেষ করার পর ভাবছি আসলেই এটা হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন তো ?????(অন্যরকম বলতে শুধু ভালো লেখাই বোঝায় না বাজে লেখাও বোঝায় )
মুক্তযুদ্ধভিত্তিক ছোট বই। বইটিতে অনেক চরিত্র আছে কিন্তু বিশেষ ভাবে দেখানো হয়েছে ৫ টি চরিত্র কে। তাদের আলাদা আলাদা অধ্যায়ে বর্ননা করা হয়েছে। এই ৫ জনের একজনের নাম # হুমায়ূন আহমদ এবং জাফর ও আছে। আজকে যে থানায় তারা হামলা করতে যাচ্ছে হুমায়ূন আহমেদকে সেটার প্রধান বানানো হয়েছে। হুমায়ুনকে প্রধান বানানোর বিষয়টা ভালো লাগছে না জাফরের। জাফর চাইছে অন্য কেউ দলপতি হোক। তবে এটা নিয়ে সে বিন্দুমাত্র বিরোধ করেনি। হুমায়ূন বুঝতে পেরেছে জাফর তাকে মেনে নিতে পারেনি কিন্তু জাফর কে হুমায়ূন আহমেদের খুব ভাল লাগে। হুমায়ূন ঠিক করেছে দেশ স্বাধীন হবার পর তার বোনের সাথে জাফরের বিয়ে দেবে।
কিন্তু বোনকি এখনোও বেচে আছে আর বেচে থাকলে কি এখনো অবিবাহিতই আছে। বর্তমান দেশের যা অবস্থা তাতে বিয়ে দেয়াটাই স্বাভাবিক। কারন অস্বাভাবিক ভাবেই তো হুমায়ুনের ছোট বোন মারা গেল। এত ছোটমেয়ে আর কতই বা হাটতে পারতো? হুমায়ূনের পরিবার নিয়ে কিছু কাহীনি আছে।
একটা মজার চরিত্র হচ্ছে মজিদ। শুধু মজিদ বললে ভূল হবে বলতে হয় ভীতু মজিদ। তারমত ভীতু এই দলে আর নেই। সাপের ভয় থেকে শুরু করে গুলির ভয়। তবে যুদ্ধের সময় মজিদই একমাত্র ব্যক্তি যে মাথা ঠান্ডা রেখে পারদর্শিতার সাথে গ্রেনেড, বোমা এবং গুলি ছুড়তে পারে। তাকে নিয়ে মজার কিছু কথা উল্লেখ আছে।
আর একটা চরিত্র আছে হাসান নামে। এই হাসান কথার উত্তর দেয় না, খালি চুপ করে কথা শোনে ইচ্ছে হলে জবাব দেয় না হলে দেয় না। এর প্রতি সবার রাগ কিন্তু কেউ সেই রাগ দেখাতে পারেনা কারন এহ এলাকার সবকিছু একমাত্র হাসানই চেনে। এই হাসান আগে রাজাকার ছিল। রাজাকার থেকে মুক্তিবাহিনীতে আসার পিছনে নির্মম একটা কাহিনী আছে যেটা বলছি না।
তো এভাবেই এগোয় কাহিনী, কখনো নৌকা কখনও পায়ে হেটে তারা পথ চলতে থাকে। পথে দেখা হয় বিচিত্র সব মানুষদের সাথে। পথ চলতে আনিস নামের একজন ভিষন অসুস্থ হয়ে যায়। তাকে পরিচিত এক বাড়ীতে রেখে আসা হয়। সেই বাড়ী নিয়ে অনেক কথা আছে, আশাকরি পড়ে নেবেন। যেটা মূল কথা সেটা হচ্ছে আজ সবাই যে থানায় হামলা করতে যাচ্ছে এরআগেও তিনবার তারা সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু কোনবারেই জয়ী হয়ে ফিরে আসেনি। বরং হারিয়েছে অনেক সৈন্য কে। আর হারিয়েছে সবার প্রিয় এক ব্যাক্তিকে। যার ভাললাগা ভালবাসা, মনোবল নিয়ে পুরা বইতে অনেক কাহিনী আছে। আশাকরি আপনাদের সেটা ভাল লাগববে। প্রিয় মানুষদের হারিয়ে এবং বারবার হেরেও আজ তারা আবার যাচ্ছে জেতার জন্য। তারা কি জিততে পারবে? এ তো অজানা উত্তর ....
বইটির প্রথমে জাফরকে নিয়ে কিছু হাসির কথা আছে। যাইহোক প্রথমে বলেছিলাম অন্যরকম লেগেছে। শেষে এসে বলতে চাইছিলাম কেন অন্যরকম লেগেছে, কিন্তু রিভিউ লেখার পর আর কারন টা বলতে ইচ্ছা করছে না, কি দরকার শুধু শুধু রহস্য ভেদ করার।
আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

Previous
Next Post »
Thanks for your comment