বইয়ের নামঃ সিসেম দুয়ার খোলো
লেখকের নামঃ নাসরীন জাহান
বইয়ের ধরণঃ রহস্য
প্রকাশনীর নামঃ প্রথমা প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৮০
মুনতাসিরের বাবা ইসকান্দার প্রভাব প্রতিপত্তিশালী। তিনি মুনতাসিরকে কখনোই কাছে টেনে নেন নি। বরং এক অদৃশ্য বাধার দেয়াল তাদের মাঝে বিচরণ করেছে। এই দেয়ালের এক পাশে তার ব্যস্ত বাবা, যিনি তার ছেলের ব্যাপারে উদাসীন। অন্যদিকে মুনতাসির, যে তার বাবার প্রতি ভালোবাসার টান অনুভব না করলেও তার প্রতি ভয় ও শ্রদ্ধায় কাবু থাকে। এ শ্রদ্ধার দেয়ার মুনতাসিরের মায়ের তৈরী, যিনি শিক্ষিত কিন্তু আদিম লেবাসে ঢাকা এক নারীমূর্তি। স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন।
মুনতাসির তার বাবাকে কখনো কাছে পায় নি। তার জীবনে যত শিক্ষা, ভালোবাসা সব মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। মুনতাসিরকে তার মা সবসময় আগলে রাখতেন। এজন্য মুনতাসিরের ভ্রমের জন্য সে কখনো বাইরের মানুষের সাথে মিশতে পারত না। তাই সে তার মা ও তার বাবার বিশ্বস্ত অনুচর রঘুকে নিয়েই তার জীবন চলতে থাকে।
মুনতাসির বড় হবার পর তাকে পুষ্পিতা নামক এক মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। পুষ্পিতা ও মুনতাসিরের জীবন ভালোই কাটছিল। হঠাৎ মুনতাসিরের ভ্রমের কারনে সে পুষ্পিতাকে খুন করে বসে, যা তার স্বপ্ন বলে মনে হতে থাকে। সে অনেকটা ঘোরের মধ্যে থেকে ট্রেনে চরে বসে, যেখনে রঘুকাকার সাথে তার দেখা হয়।
ট্রেনে যাওয়ার সময় রঘুকাকার বাড়ির পথ দেখে সে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়! এমন এক রহস্যময় জায়গায় পৌঁছায়, যা তার স্বপ্ন বলে মনে হতে থাকে! রঘুকাকার সাথে দেখা হবার পর তার মেয়ে শশীকলার সাহায্যে সে অনেকটা সুস্থ হতে থাকে, ভ্রম ও বাস্তবের মধ্যে ফারাক বুঝতে থাকে।
ইতোমধ্যেই শশীকলা মুনতাসিরের প্রেমে পড়ে, আর মুনতাসির রঘুকাকার কাছ থেকে এমন এক সত্য জানতে পারে, যা তার ভ্রমের সূচনার সাথে জড়িত! শশীকলাও যাত্রাদলের স্বর্ণবালার কাছ থেকে এমন এক সত্য জানতে পারে, যা তাকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর দিকে ঠেকে দেয়। কি সেই সত্য?
জানতে হলে পড়তে হবে "সিসেম দুয়ার খোলো"।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
প্রথমেই বলতে চাই এই বইতে অনেক ১৮+ শব্দ ব্যবহার ও বর্ণনা করা হয়েছে, যা কিশোর কিশোরীদের জন্য উপযুক্ত না।
নাসরীন জাহানের লেখা বই এই প্রথম পড়লাম। তার চমৎকার শব্দশৈলী পাঠকদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। বইটাতে এমন অনেক ঘটনা আছে যা পড়ে পাঠক অবাক হতে বাধ্য! প্রথম দিকে বেশ আনন্দ নিয়েই পড়ছিলাম। মাঝামাঝি অনেককিছুই লেখক বলার আগেই বুঝে ফেলেছি, আগে যা ধারণা করেছি তা অনেকটাই মিলে গেছে। কিন্তু শেষে যেয়ে আমি একটা ধাক্কা খেয়েছি, যা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল। সবমিলিয়ে আমি অনেক উপভোগ করেছি।
রেটিং: ৪/৫
হ্যাপী রিডিং।
ফরম্যাটঃPDF পিডিএফ বই
সৌজন্যেঃFree bangla pdf books ডাউনলোড
রেজুলেশনঃ ৬০০ DPI
লেখকের নামঃ নাসরীন জাহান
বইয়ের ধরণঃ রহস্য
প্রকাশনীর নামঃ প্রথমা প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৮০
রিভিউঃ
এ বইয়ের মূল নায়ক মুনতাসির মূলত একজন ঘোর বিভ্রাটের শিকার। মুনতাসির স্বপ্ন ও বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য বুঝে না। স্বপ্নকে বাস্তব ও বাস্তবকে স্বপ্ন মনে হয় তার। এই ঘোর বিভ্রাটের সূচনা ঘটে যখন তার বয়স মাত্র চার বছর। চোখের সামনে এক রমণীর ধর্ষণ ও বিভীষিকাময় মৃত্যু মাত্র চার বছর বয়সের ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারে নি, যা পরবর্তীতে তাকে ভ্রম ও বাস্তবের মাঝামাঝি জগতে বাস করতে বাধ্য করে।মুনতাসিরের বাবা ইসকান্দার প্রভাব প্রতিপত্তিশালী। তিনি মুনতাসিরকে কখনোই কাছে টেনে নেন নি। বরং এক অদৃশ্য বাধার দেয়াল তাদের মাঝে বিচরণ করেছে। এই দেয়ালের এক পাশে তার ব্যস্ত বাবা, যিনি তার ছেলের ব্যাপারে উদাসীন। অন্যদিকে মুনতাসির, যে তার বাবার প্রতি ভালোবাসার টান অনুভব না করলেও তার প্রতি ভয় ও শ্রদ্ধায় কাবু থাকে। এ শ্রদ্ধার দেয়ার মুনতাসিরের মায়ের তৈরী, যিনি শিক্ষিত কিন্তু আদিম লেবাসে ঢাকা এক নারীমূর্তি। স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন।
মুনতাসির তার বাবাকে কখনো কাছে পায় নি। তার জীবনে যত শিক্ষা, ভালোবাসা সব মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। মুনতাসিরকে তার মা সবসময় আগলে রাখতেন। এজন্য মুনতাসিরের ভ্রমের জন্য সে কখনো বাইরের মানুষের সাথে মিশতে পারত না। তাই সে তার মা ও তার বাবার বিশ্বস্ত অনুচর রঘুকে নিয়েই তার জীবন চলতে থাকে।
মুনতাসির বড় হবার পর তাকে পুষ্পিতা নামক এক মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। পুষ্পিতা ও মুনতাসিরের জীবন ভালোই কাটছিল। হঠাৎ মুনতাসিরের ভ্রমের কারনে সে পুষ্পিতাকে খুন করে বসে, যা তার স্বপ্ন বলে মনে হতে থাকে। সে অনেকটা ঘোরের মধ্যে থেকে ট্রেনে চরে বসে, যেখনে রঘুকাকার সাথে তার দেখা হয়।
ট্রেনে যাওয়ার সময় রঘুকাকার বাড়ির পথ দেখে সে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয়! এমন এক রহস্যময় জায়গায় পৌঁছায়, যা তার স্বপ্ন বলে মনে হতে থাকে! রঘুকাকার সাথে দেখা হবার পর তার মেয়ে শশীকলার সাহায্যে সে অনেকটা সুস্থ হতে থাকে, ভ্রম ও বাস্তবের মধ্যে ফারাক বুঝতে থাকে।
ইতোমধ্যেই শশীকলা মুনতাসিরের প্রেমে পড়ে, আর মুনতাসির রঘুকাকার কাছ থেকে এমন এক সত্য জানতে পারে, যা তার ভ্রমের সূচনার সাথে জড়িত! শশীকলাও যাত্রাদলের স্বর্ণবালার কাছ থেকে এমন এক সত্য জানতে পারে, যা তাকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর দিকে ঠেকে দেয়। কি সেই সত্য?
জানতে হলে পড়তে হবে "সিসেম দুয়ার খোলো"।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
প্রথমেই বলতে চাই এই বইতে অনেক ১৮+ শব্দ ব্যবহার ও বর্ণনা করা হয়েছে, যা কিশোর কিশোরীদের জন্য উপযুক্ত না।
নাসরীন জাহানের লেখা বই এই প্রথম পড়লাম। তার চমৎকার শব্দশৈলী পাঠকদের মুগ্ধ করতে বাধ্য। বইটাতে এমন অনেক ঘটনা আছে যা পড়ে পাঠক অবাক হতে বাধ্য! প্রথম দিকে বেশ আনন্দ নিয়েই পড়ছিলাম। মাঝামাঝি অনেককিছুই লেখক বলার আগেই বুঝে ফেলেছি, আগে যা ধারণা করেছি তা অনেকটাই মিলে গেছে। কিন্তু শেষে যেয়ে আমি একটা ধাক্কা খেয়েছি, যা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছিল। সবমিলিয়ে আমি অনেক উপভোগ করেছি।
রেটিং: ৪/৫
হ্যাপী রিডিং।
ফরম্যাটঃPDF পিডিএফ বই
সৌজন্যেঃFree bangla pdf books ডাউনলোড
রেজুলেশনঃ ৬০০ DPI
ConversionConversion EmoticonEmoticon