আপনি কি হাসতে চান? উত্তর যদি হয় হ্যা ,তাহলে আপনার জন্যই এই টিউন !

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন সবাই, আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনারা যাতে ভালো থাকেন সেই কামনা করে আজকের টিউন লেখা শুরু করছি। কাজের কথায় আসা যাক|

শ্রেষ্ঠ রম্য রচনা - সৈয়দ মুজতবা আলী

  • যাঁরা 'রসগোল্লা' পড়েছেন তাঁরা তো বটেই, অন্য যাঁদের রম্য লেখার কথা মনে হয়, শুরুতেই তাঁদের মনে পড়বে সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা। বিশেষ করে এই বাংলায়। যদিও বঙ্কিমচন্দ্র বা প্রমথ চৌধুরী তত দিনে বাংলা সাহিত্যে রম্য রচনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু 'রম্য সাহিত্য' নতুন বৈশিষ্ট্য পেয়েছে মুজতবা আলীর হাতে। রম্য লেখক হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ মুজতবা আলী। যদিও সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও তাঁর প্রভাব বেশ বলিষ্ঠ। সৈয়দ মুজতবা আলী। একজন লেখক, শিক্ষক, ভাষাবিদ, সংগঠক। সর্বোপরি একজন সফল মানুষ। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৪ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। জন্ম হয় ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, সিলেটের করিমগঞ্জ শহরে। দেশ ভাগের পর করিমগঞ্জ ভারতের আসামের মধ্যে পড়েছে। সৈয়দ মুজতবা আলীর বাড়ি হবিগঞ্জে। বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলী ছিলেন সরকারি চাকুরে। যে কারণে তাঁদের পরিবারের স্থায়ীভাবে বসবাস করা হয়নি কোথাও। তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনাও হয়েছে তাই সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়। ১৯১৯ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আসেন সিলেটে। এ সময় পড়াশোনায় আগ্রহ আর সাহিত্যে দখল থাকার কারণে মুজতবা আলী কবিগুরুর চোখে পড়েন। কবি সঙ্গে করে শান্তিনিকেতনে নিয়ে যান তাঁকে। ১৯২১ সালে ভর্তি হওয়ার পর ১৯২৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। মুজতবা আলী বিশ্বভারতীর প্রথম দিকের ছাত্র। এখানেই তিনি শেখেন ইংরেজি, আরবি, ফারসি, সংস্কৃতি, গুজরাটি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ইতালিয়ান ভাষা। বিশ্বভারতীর পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যান আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে দর্শন পড়েন জার্মানির বনে। সেখান থেকে ১৯৩২ সালে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে অর্জন করেন ডি-ফিল ডিগ্রি। পরে তিনি আরো পড়াশোনা করেন মিসরের কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বভারতীতে পড়তে পড়তেই মুজতবা আলী জড়িয়ে পড়েন লেখালেখির সঙ্গে। নিয়মিত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখতেন নামে অথবা ছদ্মনামে। আলীগড়ের পড়াশোনা শেষ করেই যোগ দেন কাবুলের একটি কলেজে। সেখানে তিনি ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখাতেন। ১৯৩৫ সালে বরোদা মহারাজার আমন্ত্রণে যোগ দেন বরোদা কলেজে। এখানে তিনি টানা আট বছর তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব পড়ান। এরপর দিলি্লতে যোগ দেন ভারতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সরকারি চাকরি বেশি দিন ভালো লাগেনি মুজতবা আলীর। চাকরি ছেড়ে দিয়ে কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। এই সময়টাই ছিল তাঁর সাহিত্যচর্চার শ্রেষ্ঠ সময়। ১৯৪৯ সালে সৈয়দ মুজতবা আলী অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন বগুড়া আযিযুল হক কলেজে। অবশ্য এখানেও বেশি দিন ছিলেন না তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ সময় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের আমন্ত্রণে সচিব হিসেবে যোগ দেন ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসান্সে। এর পর পরিচালক হিসেবে যোগ দেন অল ইন্ডিয়া রেডিওতে। রেডিওর চাকরিতে ইস্তফা দেন ১৯৫৬ সালে। টানা চার বছর শুধু লেখালেখি করেই কাটান। ১৯৬১ সালে আবারও ফিরে আসেন বিশ্বভারতীতে। রম্য রচনা ছাড়া ভ্রমণ কাহিনীতেও অনবদ্য ছিলেন মুজতবা আলী। পড়াশোনা ও চাকরি সূত্রে তিনি বিদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকবার। বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে ১৯৪৯ সালে তিনি অর্জন করেন নরসিং দাস পুরস্কার। এ ছাড়া ১৯৬১ সালে অর্জন করেন আনন্দ পুরস্কার। অনেক কথা হলো এবার বইটি ডাউনলোড করুন:ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


টিউন টি সর্বপ্রথম এখানে প্রকাশিত হয়:ই বুক সেল্ফ বিডি এ

সময় পেলে ঘুরে আসুন আমার ব্লগ 
Previous
Next Post »
Thanks for your comment